Basic Networking (বেসিক নেটওয়ার্কিং) পার্ট-২

Spread the love

Basic Networking (বেসিক নেটওয়ার্কিং) এর ২য় পর্বে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি পার্ট-১ পরে না থাকেন তাহলে এই লিঙ্ক থেকে ১ম পর্ব পড়ে আসুন।

Basic Networking / Network Fundamentals

আজকের বিষয় Protocol বা Network Protocol. সহজ ভাষায় বলতে গেলে কম্পিউটারগুলির মধ্যে তথ্য আদান প্রদান বা রিসোর্স শেয়ার করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন দরকার পরে। এই নিয়ম কানুন গুলির সমষ্টিই হলো Network Protocol.

কেন প্রটোকলের প্রয়োজন পড়ে?

ধরুন কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী স্থান-ক থেকে স্থান-খ-তে যাবেন। এর জন্য প্রটোকল কি হবে? যেমন –

প্রটোকল-১: প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে যাবেন সেই রাস্তার সাময়িক সময়ের জন্য জনসাধারণ চলাচল বন্ধ থাকবে।
প্রটোকল-২: গন্তব্যের শুরু ও শেষ পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা প্রদান করবে।
প্রটোকল-৩: গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে।
প্রটোকল-৪: প্রধানমন্ত্রীর সাথে অনেকগুলো গাড়ীবহর থাকবে।
প্রটোকল-৫: প্রধানমন্ত্রী কোন গাড়ীতে থাকবেন তা প্রকাশ করা যাবে না।
প্রটোকল-৬: মেডিকেল টীম থাকবে।

এরকম হাজারও নিয়মকানুন রাখা যেতে পারে। এখানে প্রত্যেকটিই এক একটি প্রটোকল। এতকিছু ভেদ করেও কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমন করে বসে তখন সেটা হবে Crime. ঠিক তেমনি কেউ যদি এক কম্পিউটারের নিরাপত্তা ভেঙ্গে Data চুরি করে তখন তাকে আমরা বলি Cyber Crime.

যাহোক আমরা যখন এক কম্পিউটার থেকে আর এক কম্পিউটারের ডেটা ট্রান্সফার / শেয়ারিং করব তখন আমাদের কিছু নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। তা না হলে আমাদের গুরুত্বপুর্ণ তথ্যসমূহ চুরি হতে পারে। আবার আইন-কানুন না থাকলে ডেটা গন্তব্যে নাও যেতে পারে।

এ কারণেই Network Protocol দরকার পরে।

কয়েকটি Network Protocol বা Network Protocol Model আছে। এদের একটি জনপ্রিয় মডেল হচ্ছে TCP/IP Protocol. আমরা সবগুলো নিয়ে এখন কথা বলব না। আমরা একটু একটু করে শিখব। যাতে আমাদের শেখাটা খুব সহজ হয়, বুঝতে সুবিধা হয়।

TCP = Transmission Control Protocol.
IP  = Internet Protocol.

Transmission Control Protocol বা TCP এবং Internet Protocol বা IP প্রটোকল দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে এদের একসাথে TCP/IP Protocol বলা হয়।

বিষয়টি একটু আরও সহজ করে বলি। মনে করুন আপনি কোন একটি লাইব্রেরীতে বই অর্ডার করেছেন। ডেলিভারি বয় আপনার রিকোয়েস্টকৃত বইটি নিয়ে আপনার বাড়ীতে দিয়ে আসল। এখানে ডেলিভারি বয় হচ্ছে TCP আর আপনার বাড়ির ঠিকানা হচ্ছে IP.

এরকম অনেক কাজ আছে যা তারা একসাথেই করে বলে এই প্রটোকলকে TCP/IP Protocol বলে।

যখন কোন কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারের ডেটা পাঠানো হবে তখন প্রেরক কম্পিউটার গ্রাহক কম্পিউটারকে বলবে ভাই আমি আপনার কাছে ৫এমবি’র একটি অডিও ক্লিপ পাঠাবো। আপনি কি এটা এখন রিসিভ করতে পারবেন। গ্রাহক কম্পিউটার বলবে ভাই ঠিক আছে ভাই পাঠান। গ্রাহক কম্পিউটার থেকে সিগনাল পাওয়ার পর প্রেরক কম্পিউটার ৫এমবি’র অডিও ফাইলটি কে ছোট ছোট টুকরা করে প্যাকেট বানাবে। তারপর পাঠানো শুরু করবে।

কোন কারণে যদি ৪ এমবি যাওয়ার পর ফাইলটি আর পাঠানো সম্ভব না হয় তখন গ্রাহক কম্পিউটার কোন রিসিভ করবে না। কারণ সে বলবে ভাই আপনার সাথে কথা ছিল ৫ এমবি’র একটি অডিও ফাইল পাঠানোর কথা। আপনি পাঠাইলেন ৪ এমবি। আপনার ফাইল আমি নিলাম না। আবার পাঠান। যখন গ্রাহক কম্পিউটার ৫এমবি’র অডিও ফাইলটি পাবে তখন প্রেরক কম্পিউটারকে জানাবে, ভাই ফাইলটি সঠিক ভাবে পাইছি।

এই সম্পুর্ণ কাজটি করবে TCP.

কিন্তু আপনি যে কম্পিউটার ফাইল পাঠাবেন এবং যে কম্পিউটার থেকে পাঠাবেন উভয়েরই একটি পরিচয় থাকতে হবে। যেটা হচ্ছে IP এড্রেস বা Internet Protocol Address. ঐ লাইব্রেরীতে বই অর্ডার করার মতো। শুধু মাত্র কম্পিউটারগুলি কোন মিডিয়া দ্বারা আবদ্ধ থাকলেই ডেটা পাঠানো যায় না। Internet Protocol ও সঠিকভাবে এপ্লাই করা থাকতে হবে।

মুলকথা হলো Data কিভাবে Transmission হবে তা নির্ধারণ করবে TCP এবং Data কোথা হতে Transmit হবে এবং কোথায় যাবে তা নির্ধারণ করতে IP.

মনে রাখবেন আমরা সবে মাত্র একটি মাত্র Protocol নিয়ে কথা বলছি।

এই প্রটোকলে আমাদের মুল ফ্যাক্টর হচ্ছে IP. আমাদের আইপি নিয়ে অনেক পড়াশোনা আছে।

তো আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।